তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি: হাফ ভাড়া দেওয়ায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ৪ শিক্ষার্থী পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সেফটি বাসের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে। বাঙলা কলেজে পরীক্ষা দিয়ে সেফটি বাসে করে বাসায় যাওয়ার সময় আগারগাঁও, তালতলা এলাকায় তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
বাসের সহকারী ভাড়া নিতে আসলে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে হেল্পার ও শিক্ষার্থীদের সাথে কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাস থামিয়ে কয়েকটি বাসের চালক-হেলপাররা মিলে চার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী নায়েক নুর ও শাহিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
বৃহস্পতিবার( ১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আহত ৪ শিক্ষার্থীর সহপাঠিরা। আহত ৪ শিক্ষার্থী হলেন, নায়েক নুর , শাহিন, আরিফ, মিরাজ। প্রত্যেকেই তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
আহত শিক্ষার্থী নায়েক নুর ঘটনা সর্ম্পকে বলেন, আমরা শেওরা পাড়া থেকে সেফটি বাসে করে আগারগাঁও, তালতলা যাচ্ছিলাম। আমরা শিক্ষার্থী বলে ভাড়া হাফ দিতে চাইছে কিন্তু ওরা নিতে চায়নি। এক পর্যায়ে বাস থামিয়ে জিগ্যেস করা হয় কারা শিক্ষার্থী। আমরা হাত তুললে পরে আমাদের সবাইকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তোরা ছাত্র তোদেরই পিটাবো বলে হেল্পার ওরা মারতে থাকে।
ঘটনা সর্ম্পকে আহত চার শিক্ষার্থীর সহপাঠি আবু রায়হান বলেন,পরীক্ষা শেষে ওরা চার জন সেফটি বাসে করে যাচ্ছিল। হেল্পার ভাড়া চাইতে এলে ওরা হাফ ভাড়া দেয়। কিন্তু হেল্পার ভাড়া না নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে হেল্পার ও চালক তাদের দলবল নিয়ে এসে হামলা করে। হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আমরা এর সুষ্ট বিচার চাই।
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, মারপিটের এমন খবর আমরা শুনিনি। তবে এটা সত্যিই দূঃখজনক। সেফটি বাসের কারা এমন কান্ড ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে কালকে আমরা ব্যবস্থা নিবো। পাবলিক বাসে হাফ ভাড়া নেওয়ার কোনো প্রফেশন নেই। এটা শুধু বিআরটিসি বাসে আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ঘটনা সম্পর্কে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোসাঃ তালাত সুলতানা বলেন, আমি ঘটনাটা শুনিনি, যদি অভিযোগ পাই ঘটনা যাচাই করবো। এবং ব্যবস্থা নিবো।
সময় জার্নাল/এমআই