নোমান ইমতিয়াজ। রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের ছাত্রীরা সান্ধ্য আইন বাতিল, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি করা, হলে গেস্ট রাখাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে।
তাদের অন্য দাবি গুলো হলো, ক্যান্টিনের অব্যবস্থার সমাধান, খালাদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করা, পরীক্ষা শেষে কমপক্ষে ২ মাস হলে থাকতে দেওয়া, পর্যাপ্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, গণরুমের জন্য গণকিচেনের ব্যবস্থা করা, ওয়াইফাই সমস্যার সমাধাণ, হলের চারপাশ এবং ওয়াশরুম পরিষ্কার করা।
শনিবার (২০ নভেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের এ অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলছে।
এসময় আবাসিক হলের ছাত্রীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এলাকায় সান্ধ আইনের মত বৈষম্য মূলক আইন আমারা মানব না। আমাদের ক্যান্টিনের খাবারের দাম অত্যাধিক বেশি। ম্যামকে এ বিষয়ে একাধিক বার অভিযোগ দিয়েও আমারা সমাধান পাই নি।
তারা আরো বলেন, আমাদের হলে প্রায় অর্ধ মাস হয়ে গেলো ওয়াইফাই নাই। ম্যামকে অভিযোগ কয়েকবার দেয়া হয়েছে। আমারা কোন সমাধান তো পাই ই নি উলটো তিনি আমাদের বলেছেন ওয়াইফাই দিয়ে কি রুমে ভিডিও দেখবা। এছাড়া হলেট ক্যান্টিনে খাবারের ব্যবসা চলছে। এক প্লেট খিচুড়ি ত্রিশ টাকা, একটা পরোটা আট টাকা। ক্যান্টিনে খালাদের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। তারা ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। শুধু তাই নয় ছাত্রীদের তারা অসম্মান করে কথা বলে। এসব বিষয় নিয়ে আমারা অনেক বার ম্যামের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু কোন সমাধান পাই নি। তাই আজ আমারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
এসময় তাদের হাতে - ‘ইন্টারনেট বিল দেই সেবা কই’, ’সন্ধাকালীন আইন মানি না’; ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, 'সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন’? ‘মা বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করো করতে হবে’; ' ইত্যাদি লিখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক তারেক নূর। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের জন্য দুই-তিন দিন সময় চেয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে বলেন, 'আজকের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।'
পরে, শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক তারেক নূর।
সময় জার্নাল/আরইউ