নিজস্ব প্রতিবেদক। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুসারী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসদ পরিষদ (স্বাচিপ) এর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেছে স্বাচিপ।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা এমএ আজিজের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাচিপ বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৭ তারিখ সোমবার বিকাল তিনটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলন হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক সম্মেলনে মাত্র কয়েকজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে এডহক কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্বাচিপ আত্মপ্রকাশ করে। নানা চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে আজ ২৮ বছরে পা দিল স্বাচিপ।
স্বাচিপের বর্তমান সভাপতি পদে অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব পদে অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা এমএ আজিজ বলেন , গত ২৮বছরে হাটি হাটি পা পা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের স্বাচিপ আজ দেশের সর্ববৃহৎ পেশাজীবী সংগঠন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাচিপ ১৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চলেছে। গত প্রায় দুই বছরে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাচিপের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনায় চিকিৎসা সেবায় আমরা কাজ করেছি যা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে স্বাচিপ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবো। দেশের যে কোন দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আমরা চিকিৎসক সমাজ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।
অধ্যাপক ডা এমএ আজিজ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন তখন সম্ভব হয়েছে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারী লিডারশিপে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক রোল মডেল হিসেবে অনুসরণ করছে।
স্বাচিপের ১৯৯৩ সালের গঠনতন্ত্রের মুখবন্ধে বলা হয়, ‘স্বাধীনতা অর্জনের ২৩ বছর পার হওয়ার পরও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিষ্প্রভ এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতা ও ক্ষমতার বাইরে পুনর্বাসিত। এ অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবিদের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মদানকারী চিকিৎসক সমাজ নিশ্চুপ বসে থাকতে পারে না।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল তা সুসংহত করতে ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণসহ চিকিৎসকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিকিৎসকরা ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ’ গঠন করেছে।
স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার চিকিৎসাকে সুনিশ্চিত ও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে চিকিৎসকদেরকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতকরণ, ইন সার্ভিস ট্রেইনি প্রথা প্রবর্তন, খানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গঠন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য প্রকল্প গঠনের মাধ্যমে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃংশস হত্যাকাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের গতিধারা ব্যহত হয় ও চিকিৎসা পেশার মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিকিৎসকরা ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক সম্মেলনের মাধ্যমে এডহক কমিটি গঠন করেন বলে মুখবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
সময় জার্নাল/আরইউ