ফয়সল আহমদ, সিলেট প্রতিনিধি:
বর্তমানে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। তবে জকিগঞ্জ উপজেলার ডাউক অংশের বাধ ভেঙ্গে যে পানি আসার প্রবাহ চলছিলো তা কিছুটা মন্থর হলেও এখনও পানি ঢুকছে। সেক্ষেত্রে পানি বন্দি মানুষের স্বাভাবিক অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। কোথাও হয়তো ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি পানি কমেছে তবে ভিটে বাড়িতে এখনও পানি রয়েছে এবং তা কোনো কোনো অংশে কোমর অবধি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ মতে সুরমা নদীর ৯ পয়েন্টের ৪ টিতে এখনও বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তা বাড়ে কমার অবস্থায় রয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় যে সিলেটের এই হঠাৎ বন্যার জন্য স্থানীয় মানুষ তেমন করে প্রস্থুত ছিলোনা। সেকারনে প্রস্তুত না থাকাতে বেশি করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি প্রবন সিলেটে ভরা বর্ষায় যদি কখনোও উজানের পানি আসে সেক্ষেত্রে সাধারনত নিম্নাঞ্চল বা ভাটি অঞ্চল প্লাবিত হয়ে থাকে। শহর অঞ্চলে তার তেমন প্রভাব পরেনা।
২০০৪ সালের পর এবারই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ এই ভয়াবহ বন্যার শাক্ষি হলো। নতুন প্রজন্মের কাছে এটি একটি অনভিপ্রেত ঘটনা। সরকারের কাছ থেকে যে পরিমান ত্রান খাদ্য সামগ্রী আসার কথা ছিলো সেরকম না আসাতে পানি বন্দি মানুষের মাঝে হাহাকার কাজ করছে। ব্যক্তি উদ্দোগ বা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে যা দেয়া হচ্ছে তা মুলোত কাছে ধারেই সীমাবদ্ধ।
দূর দুরান্তে যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পরেছে সেখান কার জন সাধারনের কাছে ত্রান খাদ্য সামগ্রী পৌছানো যাচ্ছেনা। এভাবে চলতে থাকলে পানি বন্দি এই অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে। কেনোনা অতিসত্বর পানি কমার কোনো লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত ত্রানের অভাব প্রবল ভাবে দেখা দিয়েছে। আসপাশের জকিগঞ্জ কানাইঘাট গোয়াইনঘাট বিয়ানিবাজার এবং সুনামগঞ্জের অবস্থা সব থেকে খারাপ।
সময় জার্নাল/এলআর