অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:
চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, বিশেষ অতিথির মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিমসহ অন্যনরা উপস্থিত ছিলেন।
শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মিলাদ ও ভুরিভোজের অনুষ্ঠানটি স্থানীয় একটি স্কুলের ছোট্ট শ্রেণিকক্ষে করায় বিশেষ অতিথি এডভোকেট নুরউদ্দীন চৌধুরী নয়ন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল কাশেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন ও আয়োজকদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন,‘এ আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে ওয়ার্ড কমিটির অনুষ্ঠান। ওয়ার্ড কমিটিও এর চেয়ে আরো ভালো চমৎকার প্লেসে অনুষ্ঠান করে।’ এ সময় নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন তীব্র সমালোচনা করে আরেকটি প্রোগ্রাম আছে বলে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
আব্দুল ওহাব কন্টাক্টরের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ থাকলেও অনেক নেতাকর্মী বসতে না পারায় ফিরে যেতে দেখা গেছে। পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেক্রেটারির কাছ থেকে ফোনে চাঁদা নিয়েও আয়োজকদের স্বল্প পরিসরে আয়োজন করায় অনেকে নেতাকর্মীই সমালোচনা করেন।
গোলাম ফারুক পিংকুর সামনেই ব্যানারের নাম না দেয়া, মঞ্চে বসে চাঁদা আদায় করা, হাইব্রিড নেতাদের প্রাধান্য দেয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ছাত্রনেতা শেখ মুজিবের সাথে প্রকাশ্যে উত্তপ্ত বাকবিতন্ডায় জড়ান আবুল কাশেম চৌধুরী। এ সময় ছাত্রলীগের একদল কর্মী বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির হস্তক্ষেপে তারা শান্ত হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শাজাহান কামাল, সাবির আহমেদ, মনসুর আহমেদ, মোশাররফ পাটোয়ারী অনিকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীবৃন্দ।
এমআই