মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসারকে ডাকতে হবে 'স্যার', হেনস্তার শিকার ছাত্রী

বুধবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসারকে ডাকতে হবে 'স্যার', হেনস্তার শিকার ছাত্রী

রিপন হোসেন, পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না ডাকায় এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা। পরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম শেখ মাহমুদ কানন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের একাডেমিক শাখার সেকশন অফিসার (গ্রেড-২)। আর ভুক্তভোগী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ১ম সেমিস্টারে অধ্যায়নরত।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর জানান, তার একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করার জন্য শেখ মাহমুদ কাননের অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তখন তাকে ‘ভাই’ বলায় ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেও ‘ভাই’ বলতে বলেন। এই নিয়ে তখন বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করেন। এতে তিনি ভীত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

এদিকে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেছেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে-, কর্মকর্তা হয়ে শিক্ষকদের কেন ‘ভাই’ সম্বোধন করতে বললেন এটার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে; তাকে ‘ভাই’ বলে কেন সম্বোধন করা যাবে না, এটার যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে এবং  ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ সবার সামনে ওই কর্মকর্তাকে ভুল স্বীকার করতে হবে।

এদিকে রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দেয়া অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর তারিখ আমাদের বিভাগের ৩য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের এর এক মেয়ে শিক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করতে রেজিস্ট্রার অফিসের একাডেমিক শাখায় গেলে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন ওই ছাত্রীকে হেনস্তা করে এবং স্যার বলতে বাধ্য করেন। এসময় তিনি দাম্ভিকতার বলেন, তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবে না। ওই ছাত্রী হেনস্তার শিকার হওয়ার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের প্রধান ড. মো: নাজমুল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। উপাচার্য ম্যামের উপস্থিতিতে আগামী শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টা একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমার ১২ বছর কর্মজীবনে এমন পরিস্থিতি কখনও হয়নি। কারও সাথেই আমি কখনো খারাপ ব্যবহার করিনি এবং আগামীতে করবও না ইনশাআল্লাহ। বিষয়টি আমি একভাবে বলেছি উনি হয় তো বুঝেছেন অন্যভাবে। তাদেরকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল