সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. জয়শ্রী সেন, সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন ও অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘গত ৬ তারিখে উপাচার্যের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ বোর্ড বন্ধ রাখা হয় তার দাবি নিয়ে আমরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই। তখন হঠাৎ করে কিছু অছাত্র ও বহিরাগত সেখানে ঢুকে আমাদের শিক্ষকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। গত ১১তারিখ পর্যন্ত এ ঘটনায় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। শুনেছি আজকে নামমাত্র একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তবে সেটা আমরা অফিসিয়ালি পাইনি। গতকাল দোষীদের বিচারের দাবিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার সময় দিয়েছিলাম। তবে প্রশাসন এ সময়ের মধ্যে কোনো সুরাহা না করায় আমরা মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি।’
নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, ‘আমরা আবারও স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তগুলো শেষ হবে। তারপর প্রথমে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ চলবে।’
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ে কিছু অছাত্র, বহিরাগত ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের দ্বারা শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন দুপুরে মানববন্ধন করে শাপলা ফোরাম। এবং পরে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেয় সংগঠনটি। এছাড়া ঘটনায় জড়িতদের বিচারের চেয়ে গত শনিবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন পালন করা হয়। সর্বশেষ গতকাল শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসন দোষীদের বিচার না করলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে মানববন্ধন করেন তারা।
এমআই