নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাতৃভাষাকে হৃদয়ে লালন করতে হবে। এটা যদি করতে পারা যায়, তাহলে মাতৃভাষা আরও গৌরবদীপ্ত হবে এবং জাতি আরও সম্মানিত হবে। কারণ, বিশ্বসম্প্রদায় বাংলা ভাষার জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামকে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৫২-র চেতনা আজ সার্বজনীন।
ভাষা হোক সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যম, সার্বজনীন বিপ্লবের হাতিয়ার! এই স্লোগানকে সামনে রেখে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত নারী প্রয়াস আয়োজিত আলোচনা সভায় আজ বক্তারা এসব কথা বলেন।
নারী প্রয়াসের সেক্রেটারী ও লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ড. ফেরদৌস আরা খানম বকুল এর পরিচালনায় শনিবার,২২ ফেব্রুয়ারী ,বিকাল ৩:০০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের লেকচার থিয়েটারের, আর.সি মজুমদার মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস -এর সভাপতি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামিমা তাসনিম। তিনি বলেন, মাতৃভাষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন না করে কেউ অন্য ভাষাতেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে না। সেই সাথে তিনি মাতৃভাষায় কুরআন কে জানার ব্যাপারেও গুরুত আরোপ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- উপাচার্য, প্রফেসর ডক্টর দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার মৌলিকত্ব বজায় রাখতে হবে আমাদেরকেই। কাজের প্রয়োজনে আমাদেরকে আন্তর্জাতিক ভাষা জানতে হবে। তবে নিজের মায়ের ভাষার সম্মান থাকবে সর্বাগ্রে। নিজেদের দেশ, নিজেদের মানুষ হিসেবে আমরা যেভাবে বাংলাকে ধারণ করব, তার ভেতর দিয়েই বাংলা ভাষার প্রকাশ-বিকাশ নিশ্চিত হবে।
তিনি তার আলোচনার বাংলা ভাষার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন।
এদিকে, ভাষা দিবসের গোড়ার সঠিক ইতিহাস নিয়ে “ভাষা যেভাবে সংগ্রাম হল” শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, নারী প্রয়াস এর সহকারী সেক্রেটারি ও এভাররোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর ভাইস প্রিন্সিপাল মাহসিনা মমতাজ মারিয়া।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারী প্রয়াসের সহ সভাপতি ডাক্তার ফাতেমা ইয়াসমিন, ডক্টর প্রফেসর আবিদা সুলতানা, সহকারী সেক্রেটারি সাহেল মোস্তারী, ইঞ্জি: নিয়ামা ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।