সর্বশেষ সংবাদ
ডা. মারুফুর রহমান অপু :
কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া মডার্না ও ফাইজারের টিকা মোটামুটি দেয়া শেষ, ১২ তারিখের পর থেকে শুধু ২য় ডোজ চলবে। অন্যদিকে এস্ট্রাজেনিকা ব্যবহৃত হচ্ছে ২য় ডোজ এস্ট্রাজেনিকা যাদের বাকি ছিলো তাদের জন্য। কোভিডের জন্য অনুমোদিত সকল ভ্যাকসিনই কার্যকরি এবং এখানে ব্যাক্তিগত ভ্যাকসিন ব্র্যান্ড চয়েস এর সুযোগ নেই। কার্যকারিতা নিয়ে সমস্যা নেই, সমস্যা হলো ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বৈশ্বিক রাজনীতিতে।
পশ্চিমা, মধ্যপ্রাচ্য ও পূবের উন্নত দেশগুলো তাদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড ভ্যাকসিন এর শর্তে নানা ধরনের ব্র্যান্ড এর নাম উল্লেখ করেছে। যেসব দেশের অধিকাংশেই চীনের তৈরি সিনোফার্ম অনুমোদিত না। অর্থাৎ সিনোফার্ম নিয়ে ঐ দেশে গেলে তিনি ভ্যাকসিনেটেড বলে বিবেচিত হবেন না এবং সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি পাবেন না। অথচ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত।
সভ্যতার ঝাণ্ডাধারী ওইসব মোড়ল দেশগুলো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য। বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণাদি সবই উন্মুক্ত তবু বৈষম্য কমছে না। এদিকে ওরা চীনের সিনোফার্ম কে অস্বীকার করছে অন্যদিকে চীন একইভাবে তাদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে সিনোফার্ম এর বাধ্যবাধকতা দিয়েছে। এই রাজনীতির ফাঁদে পড়ছে লক্ষ কোটি মানুষ।
বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে যায় কাজে, রেমিটেন্সের টাকায় দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। বৈশ্বিক রাজনীতির কারনে মধ্যপ্রাচ্যে সিনোফার্ম এপ্রুভ না হওয়ায় বিপদে পরবে হাজার হাজার শ্রমিক। এছাড়া প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী উন্নত দেশগুলোতে পড়তে বা কাজ করতে যান, তারাও একইভাবে নানাবিধ ঝামেলায় পড়বেন। কেন আমরা এই বৈষম্য নিয়ে কথা বলছি না? যে ইউরোপ বৈষম্যহীনতার কথা বলে, সাম্যতার কথা বলে, বিজ্ঞানের কথা বলে তারা সিনোফার্ম তো বটেই এমনকি ইন্ডিয়ায় তৈরি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনকেও তাদের দেশে ভ্রমণের জন্য অনুমোদন দিচ্ছে না। এ বৈষম্য তাদের কলোনিয়াল লিগ্যাসির বাইরের কিছুর না। বাংলাদেশের উচিত হবে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় এই বৈষম্য নিয়ে কথা বলা, সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফোরামে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে বর্ণবাদী আচরণ বন্ধ করুন, বৈষম্যের নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন।
সময় জার্নাল/ইএইচ
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল