স্পোর্টস ডেস্ক:
২১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ। দুই দলের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। হোম অব ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ম্যাচ দিয়েই সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে দেশের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তা হচ্ছে না। গণমাধ্যমকে, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া এমনটায় জানায়; এছাড়া সাকিব ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলেন, নিরাপত্তাঝুঁকির কারণেই দেশে ফেরা হচ্ছে না তাঁর।
তার দেশে ফেরার খবরে বিরোধীরা বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেন শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের মূল ফটকের সামনে। তারা বিসিবিকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, সাকিবকে আর কখনোই জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চান না। বিসিবি যদি তাদের দাবি মেনে না নেয়, সেক্ষেত্রে তারা মিরপুর ব্লকেড করে ফেলবেন। এমন আল্টিমেটামের একদিন পর সাকিব ভক্তরা শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মিরপুরে জড়ো হন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বিক্ষোভ করেন তারা।
আজ রোববার স্টেডিয়ামমুখি লংমার্চেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব ভক্তরা। তবে দুপুর নাগাদ তাদের সেই লংমার্চে হাতেগোনা কিছু লোক জড়ো হয়েছিলেন। জানা যায়, সাকিব আল হাসানের ভক্তরা মিরপুর ১ নম্বরে শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে চেয়েছিলেন। তবে সেখানে আগে থেকে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নেন। ফলে সাকিবভক্তরা মিডিয়া গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
সেখানে কিছুক্ষণ স্লোগান দেয়ার পর এক নম্বর গেটের দিকে এগোলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটকে দেন। এক নম্বর গেট এবং মিডিয়া গেটের মাঝখানের সড়কে অবস্থানে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। ভক্তদের কেউ কেউ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন তাদের বক্তব্যে। সাকিবভক্তরা বলেন, সাকিব আল হাসান ১৭ বছর বাংলাদেশের জার্সি পরে খেলেছেন। বাংলাদেশকে বহু জয় এনে দিয়েছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের জায়গায় নিয়ে গেছেন। আর তাই তাকেও সম্মানিত করা উচিৎ।
এরপর জানা যায়, বিকেল পৌনে তিনটার দিতে হঠাৎ স্টেডিয়ামের মিডিয়া গেটের উল্টো দিক থেকে লাঠি-সোটা হাতে সাকিব-বিরোধী একদল যুবক এসে তাদের এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। শুরু হয় দুপক্ষের সংঘর্ষ। মুহূর্তেই মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দ্রুত সেনাবাহিনির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাঠি-সোটা নিয়ে পেটাতে আসা যুবকরা পালিয়ে যায়। তারা কারা তাৎক্ষণিত জানা যায়নি।
সাকিবকে দলে রেখেই মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বিসিবি। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে সাকিব আল হাসান দেশে ফিরছেন, বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত এমন খবরই ছিলো গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে ১৬ অক্টোবর রাত থেকেই সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
পরে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জানা যায়, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেই সাকিবকে এখনই দেশে ফেরার বিমান না ধরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, নিরাপত্তাঝুঁকির কারণেই দেশে ফেরা হচ্ছে না তাঁর। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে সাকিব বলেন, আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না।
এমআই